সেই শেষ ট্যুর: একটি ফ্রেমে তিন বন্ধু
চরিত্র: জাহিদ, মেহেদী ও রাসেল।
জীবন মানেই তো ছুটে চলা, কিন্তু কিছু মুহূর্ত থমকে দাঁড়াতে বাধ্য করে। এই ছবিটা ঠিক তেমনই একটা মুহূর্ত। জাহিদ, মেহেদী আর রাসেল—আমরা তিনজন। হয়তো নামগুলো আলাদা, কিন্তু আমাদের গল্পটা এক সুতোয় গাঁথা।
সেদিনটা ছিল অন্যরকম। খোলা আকাশ, বাতাসের ঝাপটা আর পেছনে কর্মব্যস্ত শহরের যান্ত্রিকতা (ক্রেন আর কন্টেইনারের সারি)। আমরা বেরিয়েছিলাম ঘুরতে, বাউন্ডুলেপনা করতে। তখন কি আর জানতাম, তিনজন মিলে একসাথে এটাই হবে আমাদের শেষ ট্যুর?
ছবির দিকে তাকালেই সেই দিনটার কথা মনে পড়ে যায়।
- বাতাসের তোড়ে চুলগুলো অবাধ্য, কিন্তু আমাদের মন ছিল পাখির মতো স্বাধীন।
- মেহেদীর চোখে রোদচশমা আর ঠোঁটে সেই চিরচেনা হাসি, যেন পৃথিবীর কোনো চিন্তাই ওকে ছুঁতে পারে না।
- জাহিদের শান্ত কিন্তু দৃঢ় ভঙ্গি, যে সব পরিস্থিতিতেই দলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
- আর রাসেল, যে এই মুহূর্তটাকে লেন্সের ফ্রেমে বন্দি করে রাখতে চেয়েছিল আজীবনের জন্য।
“শেষ ট্যুর”—শব্দটা শুনলে বুকের ভেতরটা একটু মোচড় দিয়ে ওঠে। জীবনের প্রয়োজনে, ব্যস্ততার ভিড়ে হয়তো আগের মতো আর হুটহাট প্ল্যান করা হয় না। হয়তো দূরত্ব বেড়েছে মাইলের হিসাবে, কিন্তু মনের দূরত্ব? সেটা তো এই ফ্রেমের মতোই অটুট।
এই ছবিটা শুধু একটা ডিজিটাল ফাইল নয়, এটা একটা টাইম মেশিন। যখনই এটা দেখি, আমরা আবার সেই দিনে ফিরে যাই। যেখানে কোনো ডেডলাইন নেই, কোনো কাজের চাপ নেই—আছি শুধু আমরা তিন বন্ধু আর আমাদের অগোছালো আড্ডা।
বন্ধুত্ব কখনো শেষ হয় না, ট্যুর শেষ হতে পারে, কিন্তু স্মৃতিরা আজীবন থেকে যায়।







